Logo
Logo
×

সারাদেশ

কারাগারের কনডেম সেল থেকে যেভাবে পালিয়েছিলেন ফাঁসির ৪ আসামি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম

কারাগারের কনডেম সেল থেকে যেভাবে পালিয়েছিলেন ফাঁসির ৪ আসামি

কারাগারের কনডেম সেল থেকে পালিয়েছিলেন ফাঁসির ৪ আসামি

ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি বগুড়া জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পালিয়ে যাওয়া চারজনই বিভিন্ন হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। যদিও এ ঘটনার আধা ঘণ্টা যেতেই কারাগারের কিছুটা দূর থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। তবে কনডেম সেল থেকে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জেলা প্রশাসন থেকে হয়েছে তদন্ত কমিটি। বগুড়া জেলা কারাগারের পূর্ব-উত্তর কোণে তিনটি কনডেম সেল রয়েছে। সেখানে ১৩ জন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিকে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে রশির মাধ্যমে পালিয়ে যান চার আসামি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ৩.৫৫ মিনিটে তারা কনডেম সেলের ছাদ ছিদ্র করে বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে ছাদে ওঠেন। তাদের গায়ে কয়েদির পোশাক ছিল না। এরপর তারা ওই রশি বেয়ে উঁচু প্রাচীর থেকে নেমে পাশের করতোয়া নদীর সেতু পার হন। কারাগার থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরের চেলোপাড়ার চাষী বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন তারা। সেখান থেকে পালানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় বগুড়া সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আসামিরা তাদের ব্যবহার করা বিছানার চাদরকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। সুযোগ মতো কারাগারের ছাদ ফুটো করে বাইরে বের হন তারা। এরপর কারাগারের সীমানা প্রাচীর টপকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তারা পালিয়ে যায়।’

বগুড়ার এসপি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে আমাদের জানানো হয়। কারাগার থেকে তাদের ছবি দেয়া হয় আমাদের। আমরা সেই অনুযায়ী রাতেই অভিযান শুরু করি। পরে ভোররাতে তাদের চাষীবাজার থেকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের জেলা ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হলে কারাগারের সুপার এসে তাদের শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় একটি মামলা হবে। মামলায় তাদের ফের আদালতে তোলা হবে।

ওই আসামিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৩৮), বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ফরিদ শেখ (২৮) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট পুর্বপাড়ার বাসিন্দা মো. জাকারিয়া (৩১)। এদের মধ্যে জাকারিয়া বগুড়ার কাহালুর শিশু নাইম হত্যা ও লাশ ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। এছাড়া নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ও আমির হোসেন চারটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, “তারা কীভাবে জেলের কনডেম সেলের ছাদ ছিদ্র করে পালিয়ে যায় সেসব তদন্তে প্রকাশ হবে।” ওই চার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। এরপর পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা হবে। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।”

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন