কোদালিয়া নদীর ৫ কিলোমিটার ভারতীয় দখল থেকে মুক্ত করলো বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় কোদালিয়া নদীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ভারতীয় দখল থেকে মুক্ত করেছে বিজিবি। স্বাধীনতার পর থেকেই এই অংশ ভারতের বিএসএফের অধীনে ছিল।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৫৮ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কোদালিয়া নদী বাংলাদেশের ভেতরে থেকে মহেশপুরের মাটিলা এলাকায় ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত চিহ্নিত করেছে। ১৯৬১ সালে প্রণীত বাংলাদেশ-ভারত (স্টিপ ম্যাপ সিট নম্বর-৫১) মানচিত্র অনুযায়ী, এই ৪.৮ কিলোমিটার নদী পুরোপুরি বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্য রেখার ভেতরে অবস্থিত।
বিজিবি সম্প্রতি বিষয়টি নজরে এনে বিভিন্ন নথিপত্র এবং মানচিত্রের ভিত্তিতে বিএসএফের অবৈধ দখলের প্রতিবাদ জানায়। সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে বিজিবির সদস্যরা কোদালিয়া নদী পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে সেখানে বিজিবি জনবল বৃদ্ধি, যন্ত্রচালিত বোট এবং দ্রুত টহলের জন্য অল টেরেইন ভেহিকেল (এটিভি) বরাদ্দ করেছে।
মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের মাটিলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন জানান, একসময় এই নদী থেকে প্রচুর মাছ ধরা হতো। স্বাধীনতার পর নদীপাড়ের মানুষ দেশের অভ্যন্তরে চলে যাওয়ার কারণে বিএসএফ ওই অংশ দখল করে নেয়। ফলে কৃষকরা মাঠে চাষাবাদ ও নদীতে মাছ ধরতে পারতেন না। নদীর বাংলাদেশ অংশে গেলেই বিএসএফ বাধা দিত এবং মাটিলা গ্রামের মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধতো।
নদী পুনরুদ্ধারের পর সোমবার দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ মো. আজিজুস সহিদ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় স্থানীয়রা জানান, তারা এখন নির্বিঘ্নে কোদালিয়া নদীতে যেতে পারছেন।
নদী উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা করার জন্য কর্মকর্তারা জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নদীর প্রকৃত অবস্থান ও মালিকানা সম্পর্কে সচেতন রাখতে অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে নদীর বাংলাদেশ অংশে সেচ ও চাষাবাদ চালিয়ে যেতে এবং কোনো বাধা সৃষ্টি হলে দ্রুত বিজিবিকে জানানোর আহ্বান জানান গ্রামবাসীর প্রতি।