ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট ৯ জন ছিলেন বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিশেছে। ওই পথে অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে, যেখানে রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল এবং মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিকে আসছিল। এ সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন জানান, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে যায় এবং সেটি উদ্ধার করা হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে দু'জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল, যারা দুজনই নারী। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আহতদের মধ্যে মাইক্রোবাসের চালকও রয়েছেন।

ফরিদপুর রেলের স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি শুনেছেন এবং খোঁজ নিয়েছেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়, তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, তিনি এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, নিহতদের মরদেহ বহন ও দাফনের যাবতীয় খরচ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে।