Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাজশাহী কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ পিএম

রাজশাহী কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জেরে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় ভারত সীমান্তের কাঁটাতারবিহীন স্থানে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শুরু করে। এই কাঁটাতার দেয়া নিয়ে দুই দেশের জনতা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়। পাল্টাপাল্টি জমায়েত ও স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাহাদিপুর-সোনামসজিদ সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর সীমান্ত এলাকা। বাংলাদেশের দিকে এই এলাকাটি রাজশাহী জেলার শিবগঞ্জ থানার আওতাধীন।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) এই ঘটনার সূত্রপাত। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার অংশে এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সেখানে প্রায় উন্মুক্ত। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া তুলতে শুরু করে। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বেড়া দেয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়, ফলে মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয় কাঁটাতারের কাজ।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে ভারতের দিক থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দেমাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। পাল্টা স্লোগান আসে বাংলাদেশের দিক থেকেও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তুলতে গেলে বিজিবি ভারতীয় ভূখণ্ডকেও বিতর্কিত এলাকা বলে দাবি করে। এর পরই উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মানচিত্র তুলে ধরে বিএসএফ জানায়, ওই এলাকা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ। শেষ পর্যন্ত বিজিবি ফিরে যায়। বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে কাঁটাতারের বেড়া তোলার কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংঘানিয়া বলেন, সাময়িক বাদানুবাদে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আজ সকাল থেকে কাঁটাতার দেয়া শুরু হয়েছে। বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে এবং জেলা পুলিশ পরিস্থিতি তদারকি করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন