Logo
Logo
×

শিক্ষা

গাড়িচালক সিরাজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম

গাড়িচালক সিরাজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি : সংগৃহীত

সিরাজ দৌলা সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) এক প্রভাবশালী গাড়ি চালক, যার ক্ষমতার প্রভাবে অনেক কর্মকর্তাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলেই তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সম্প্রতি সিরাজ সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুর্মিটোলা অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে তারা বলেন, কয়েকদিন আগে সিরাজ নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের সন্তানকে ওই স্কুলে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেন এবং নানাবিধ অবৈধ সুবিধা পেতে চাপ সৃষ্টি করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী এ বছর শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন অপরিহার্য। কিন্তু সিরাজ তার ছেলেকে অনলাইন আবেদনে অংশ না নিয়েই প্রভাব খাটিয়ে ভর্তি করতে চান। স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি বিধি মোতাবেক ভর্তি হতে বললে সিরাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অস্থিতিশীল করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করাসহ পাঠদানের বিদ্যমান পরিবেশ বিঘ্নিত করার জন্য মানববন্ধনের হুমকি দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত অন্য অভিভাবকদের সমর্থন না পেয়ে তা প্রত্যাহার করেন সিরাজ।

সিরাজের এমন কর্মকাণ্ডে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিব্রত।

একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের নাম ভাঙিয়ে চলতেন সিরাজ দৌলা। দাবি করতেন তার দাদাশ্বশুর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী ফারুক খানের আস্থাভাজন। আওয়ামী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সিরাজ বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালানের চক্র তৈরি করেন। ২০২৪ সালের ৩০ মে ডিজিএফআইয়ের বিমানবন্দর ডেস্কে তিনি সোনা চোরাচালানের অপরাধে আটক হন।

এই সময়ে তার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাকে বদলি করাসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে সিরাজ এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, বদলি পর্যন্ত করা যায়নি।

নানা অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া সিরাজ বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অস্থিতিশীল করার খেলায় মেতেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করেছে বর্তমান অধ্যক্ষের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায়ও শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অব্যাহত রয়েছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেন, বর্তমান প্রিন্সিপাল এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে নানা অসঙ্গতি দূর করে পড়ালেখার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। বিগত বছরগুলোতে কলেজ শাখার অনুমোদন গ্রহণ করে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে স্কুল শাখায় ইংরেজি ভার্সন চালু করা সহ কলেজ শাখায়ও ইংরেজি ভার্সন চালু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাশের গৌরবসহ সহশিক্ষা কার্যক্রমে বিভিন্ন সফলতা অর্জন করছে।

তবে সম্প্রতি ড্রাইভার সিরাজসহ কতিপয় দুস্কৃতিকারী প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা প্রত্যাশা করি, এই প্রতিষ্ঠানের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশ যাতে কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন