Logo
Logo
×

শিক্ষা

দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০৩ পিএম

দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা

ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডের বেতন স্কেলসহ দ্বতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে তারা এই মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। এতে হাইকোর্টের রায় বহাল রইল। 

আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে প্রদান করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন।

আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল। 

২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।

ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।

পরে ১১ ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন