শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার নিপুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম

নিপুণ আক্তার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন বিতর্কিত নায়িকা নিপুণ আক্তার। গত রবিবার কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সমিতির প্যাড অবৈধভাবে ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই, নিপুণ শিল্পী সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি দেন, যেখানে নিজেকে 'সাবেক' সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর তিনি সেই বিবৃতি ফেসবুকেও পোস্ট করেন, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এর পর ৩০ জুলাই শিল্পী সমিতির ষষ্ঠ সভায় এই বিষয়টি ওঠে এবং নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশে সাড়া দেননি।
এছাড়া নিপুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করেছেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এই কারণে তাকে আজীবনের জন্য সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব। নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে এবং হোয়াটসঅ্যাপেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এছাড়া কোটা আন্দোলন নিয়ে নিপুণের বিবৃতির জন্য তিনটি কারণে সমালোচনা করা হয়। প্রথমত, সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে তিনি নিজেকে 'সাবেক' সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, যা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বিতীয়ত, তার বিবৃতি টেলিভিশন অভিনয়শিল্পী সংঘের বিবৃতি থেকে হুবহু কপি করা হয়েছিল, যা নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। তৃতীয়ত, নিপুণের বিবৃতিতে সহিংসতা বা মৃত্যুর মতো ঘটনাগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বিগত সময়ে, তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নির্বাচন বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছিলেন এবং ডিপজলকে 'অশিক্ষিত' বলার জন্যও সমালোচিত হন। এর প্রতিবাদে কয়েকজন শিল্পী এফডিসিতে মিছিল করেন এবং নিপুণের গলায় জুতার মালার ছবি ব্যবহার করেন।
নিপুণ ১০ জানুয়ারি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যে পালানোর চেষ্টা করলেও তার পাসপোর্ট আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তিনি দাবি করেন যে আটকের খবর মিথ্যা। বর্তমানে নিপুণ দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন।