Logo
Logo
×

ফিচার

১৪ দিন চিনিমুক্ত থাকলে কী হয়?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম

১৪ দিন চিনিমুক্ত থাকলে কী হয়?

ছবি : সংগৃহীত

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনো না কোনোভাবে চিনি থাকেই। তবে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা প্রায়শই সচেতন থাকি না। গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি অ্যালকোহলের মতোই আসক্তিকর। এটি রক্তে সরাসরি মিশে উচ্চমাত্রার ফ্রুকটোজ তৈরি করে, যা নেশার মতো প্রভাব ফেলে।

চিনিকে ‘সাদা বিষ’ বলা হয়, কারণ অতিরিক্ত চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে ক্লান্তি, মাথা ঝিমঝিম করা, মনোযোগের অভাব এবং শরীরে চর্বি জমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই মনে করেন, চা খেলে ক্লান্তি দূর হয়, কিন্তু অতিরিক্ত চিনি মিশিয়ে চা পান করলে ক্লান্তি আরও বাড়তে পারে। তাই পরিমাণমতো চা পান করাই ভালো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র ১৪ দিন চিনি না খেলে দেহে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়। হজমের সমস্যা কিংবা নিদ্রাহীনতা দূর করা সম্ভব মাত্র দুই সপ্তাহ চিনিমুক্ত থাকলেই।

প্রথম তিন দিন:

চিনির অভ্যাস ছাড়ার প্রথম তিন দিন সবচেয়ে কঠিন। শরীরকে চিনি ছাড়া অভ্যস্ত করতে হলে শুরুতে কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যেমন—মাথাব্যথা, পেটব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি। শরীর তখন জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান নিষ্কাশনের কাজ শুরু করে, তবে স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ঠিকই চলতে থাকে।

চতুর্থ থেকে সপ্তম দিন:

এই সময় থেকে মনোযোগ ও শক্তি বাড়তে শুরু করবে। শারীরিকভাবে আরও চাঙ্গা অনুভব করবেন এবং আগের তুলনায় বেশি মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

অষ্টম দিন থেকে:

চিনিমুক্ত জীবন শরীরের পাচনতন্ত্রকে উন্নত করে তোলে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভারসাম্য খুঁজে পেতে শুরু করে, ফলে পেট ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কমে যায়।

দ্বিতীয় সপ্তাহের পর:

এই পর্যায়ে ঘুমের মান ভালো হতে শুরু করবে এবং মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। চিনি শরীরের ঘুমচক্রে বিঘ্ন ঘটায়, তাই এটি বাদ দিলে নিদ্রাহীনতা দূর হয়। ক্ষুধার পরিমাণও কমে আসবে, ফলে বারবার খাওয়ার ইচ্ছা হবে না, যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

১৪ দিন চিনি বাদ দিলে দীর্ঘমেয়াদে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়—

  • হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা ও চোখের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের সমস্যা, যেমন ব্রণ ও একজিমা কমতে শুরু করে।
  • মেজাজ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়, বিষণ্নতা কমে যায় এবং কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

অল্প সময়ের জন্য হলেও চিনিমুক্ত থাকার অভ্যাস শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক হতে পারে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন