ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত ও পরীক্ষিত হবে : এটর্নি জেনারেল
যুগের চিন্তা ২৪ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
এটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
এটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকার স্পষ্টভাবে বলেছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত ও পরীক্ষিত বিচার হবে। যেকোনো বিতর্কের অবসান ঘটাতে সবার সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সংস্কার কাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এটর্নি জেনারেল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর কোনো রাষ্ট্রীয় প্রভাব নেই।
তিনি আরও বলেন, যে অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজেরই একটি অংশ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অনেক মানুষ শহিদ হয়েছেন, যাদের মৃত্যুতে মানবতাবিরোধী অপরাধের উপাদান রয়েছে। আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সেসময় সংঘটিত সকল অপরাধের বিচার এখানে করা হবে।
একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা মূলক ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ট্রাইব্যুনালকে এটর্নি জেনারেল অফিস সর্বপ্রকার সহায়তা করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর এবিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এমএইচ তামিম, তারেক আব্দুল্লাহ, শাঈখ মাহাদীসহ আরও অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরবর্তী সময়ে জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।