সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ বৈষম্যমূলক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি

যুগেরচিন্তা২৪ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এর সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন।
তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশ আইনজীবীদের হতাশ করেছে, কারণ এতে কোনো আইনজীবী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অথচ অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। আমি এই অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট এনেক্স ভবনের মিডিয়া রুমের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কাউন্সিল বিচারক নিয়োগের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে কারণ উল্লেখ করে কাউন্সিলের সুপারিশ থেকে কারো নাম ফিরিয়ে দিতে পারবেন। এসব বিষয় উল্লেখ করে ২১ জানুয়ারি এই অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এই অধ্যাদেশের একটি খসড়া সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শীর্ষক এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই ও প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদানের প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করতে একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে, যার নাম ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’।
প্রধান বিচারপতি হবেন সাত সদস্যের এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন। কাউন্সিলের সদস্যরা হলেন আপিল বিভাগে কর্মরত প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত প্রবীণতম বিচারক, অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপারসনের মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং চেয়ারপারসনের মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা বিশেষজ্ঞ।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বলে ৪ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।