আনিসুল-পলককে ৩, মামুনকে ২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বাড্ডা থানার পৃথক তিন মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া একই থানার আরও দুই মামলায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবী আদালত এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকাল ৮টার পর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্তিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দুইজনের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ। গত ২৪ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই মামলায় দশ দিন করে বিশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় পাঁচ দিন করে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১ সেপ্টেম্বর পৃথক দুই হত্যা মামলায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের তিনদিন করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
৩ সেপ্টেম্বর রাতে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরের দিন ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অপরদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আকতারুজ্জামান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আট রিমান্ড মঞ্জুর করেন।