Logo
Logo
×

জাতীয়

মাতারবাড়ী প্রকল্পের পরিচালক জিনিসপত্র বেচে পালিয়েছেন : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম

মাতারবাড়ী প্রকল্পের পরিচালক জিনিসপত্র বেচে পালিয়েছেন : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

মাতারবাড়ী প্রকল্পের পরিচালক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, যাওয়ার আগে প্রকল্পের অনেক সরকারি জিনিসপত্র বিক্রি করে দেন তিনি। তাই আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, প্রকল্প পরিচালক দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর অনেক প্রকল্প পরিচালককে পাওয়া যাচ্ছে না।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমে এসে যাচাই–বাছাই করে প্রকল্প পাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে প্রকল্পপ্রবাহ কমেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে একধরনের ধীরগতি আছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ৮ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, অগ্রাধিকারমূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা যায়, সেই উদ্যোগ নেয়া হবে। সে অনুসারে সংশোধিত এডিপিতে ওই সব প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা স্থবিরতা আছে। মূল্যস্ফীতির হার বেশি। জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে ব্যাহত করছে। গ্রামগঞ্জের দোকানপাটে বেচাকেনা কম হচ্ছে। মানুষের আয়-ব্যয় সংকুচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন বিনিয়োগ না হলে এবং এডিপি বাস্তবায়ন কমে গেলে অর্থনীতিতে মন্দাভাব সৃষ্টি হতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা চলছে। যা উৎপাদিত হয়, তা–ও বজায় রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। শ্রমিকেরা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেন।

আগামী বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়বে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ শুধু অবকাঠামো খাতে নয়; শিক্ষা সরঞ্জামাদি ও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করা যাবে বলে আমি মনে করি না। অতিরিক্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা নানা দাবিতে আন্দোলন করছেন—এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি ন্যায্য হলে তা পূরণ করা হবে। ইতিমধ্যে এমন অনেক আন্দোলন থেমে গেছে। অন্যায্য দাবি হলে মানা হবে না। রেলযাত্রীদের আক্রমণ করলে জনমত বিপক্ষে চলে যায়। সেদিক থেকে আমরা কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন