গুম-হত্যার শিকার হাজারও বনি আদমের আজও খবর পাওয়া যায়নি: জামায়াত আমির
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে ব্যাপক রক্তপাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ গুম ও হত্যার শিকার হয়েছে, যাদের আজও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মানুষের ওপর বারবার অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ৫৪ জন মানুষকে হত্যা করে এবং তার ওপর উল্লাস করে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধা জেলা শহরের ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্তরে হেফাজত ইসলামীর নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাতের আঁধারে হাজারো লাশ ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। এসব ঘটনার পেছনে আওয়ামী লীগ সরকার পরোক্ষভাবে জড়িত থেকেও নানা নাটক করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর বিডিআর সদস্যদের নাম ও পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে, কিন্তু আজও এ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। ক্ষমতার দম্ভে হেফাজত ইসলামীর নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে সময় উপহাস করেছিলেন শেখ হাসিনা। অথচ আজ তিনি নিজেই পালিয়ে গেছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের শান্তনা দিতে পারেননি।
গাইবান্ধাবাসীর উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ক্ষমতায় গেলে আমরা বৈষম্যহীন, মানবিক ও অহংকার করার মতো একটি দেশ গড়ে তুলবো। যেখানে কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাসী এবং ঘুষ-দুর্নীতি থাকবে না। গাইবান্ধার মানুষের উন্নয়নে আমি নিজে থেকেই কাজ করবো এবং তাদের বঞ্চিত না হওয়ার বিষয়ে সার্বিক নজর রাখবো।
দেড়যুগ পর গাইবান্ধা জেলায় অনুষ্ঠিত এই কর্মী সম্মেলনে সকাল থেকেই ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আয়োজনটি কর্মী সম্মেলন হলেও তা জনসমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে জামায়াত ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। ছোট-বড় মিছিল নিয়ে, স্লোগান দিতে দিতে তারা মাঠে প্রবেশ করেন। মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায়, আশপাশের বিভিন্ন সড়কেও নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।