Logo
Logo
×

জাতীয়

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক গোপনীয় ছিল না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

Icon

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক গোপনীয় ছিল না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। দ্বিমত থাকতে পারে, একই বিষয়ে বিভিন্ন সমাধান থাকতে পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে ঐক্য থাকা জরুরি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই দুটো বড় দল থাকে এবং আলোচনার ভিত্তিতে অনেক কিছু নির্ধারিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে গত ৫২ বছরে তা দেখা যায়নি। সব সময় সরকার যা মনে করেছে, তা-ই করেছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় সরকারি দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেও বিরোধী দল বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের স্বার্থে বৃহৎ ঐক্য প্রয়োজন। সেখানে আলোচনা হবে, একতরফা কিছুই হবে না। দর্শকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আমাদের জানাতেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এতে কোনো ধরনের গোপনীয়তা ছিল না।

থাইল্যান্ড-মিয়ানমার ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, মূল আলোচনা ছিল সীমান্ত, অপরাধ ও মাদক এবং মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যু ছিল না। আমাকে আমন্ত্রণ জানালে বলেছিলাম এই তিনটি ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে এই তিনটি সমস্যার সমাধান হবে না।

সাইড লাইন বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বৈঠকে আমি বলেছি রোহিঙ্গাদের সমস্যার সমাধান করো। তাদের দুই লাখ তরুণ-তরুণী আছে। তারা যদি আগ্রাসী হয়, তাহলে বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশের ক্ষতি হবে। এরই মধ্যে সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। আরাকান আর্মির সময়েও রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। তা না হলে তোমাদের (মিয়ানমারের প্রতিবেশী সব দেশ) শান্তিও থাকবে না। তিনি আরও বলেন, বলা হয় ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু বাস্তবে দেখেছি উল্টোটা। দেখেছি রাষ্ট্রের চেয়ে একটি গ্রুপের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে যিনি প্রধান তার স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সখ্য আছে। আমাদের এই তিনটি দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মনে রাখতে হবে, ভারত ও চীনের মধ্যে এত শত্রুতা থাকা সত্ত্বেও সেখানে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আমাদের প্রতিটি দেশের সঙ্গে স্বার্থ আছে। কারণ, আমরা যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে মেজর খেলোয়াড় না, তাই আমাদের একধরনের ব্যালেন্স করে চলতে হবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন