
ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারত এখনো কোনো মন্তব্য করতে প্রস্তুত নয় এবং তাদের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, "এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।"
এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেই দাবি সঠিক প্রক্রিয়ায় করেনি এবং চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি গ্রহণ না হওয়ার অনেক কারণ আছে।
গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে এবং সেই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা। আমরা তাকে যে বিচারব্যবস্থার জন্য ফেরত চেয়েছি, সেটা আমরা তাদের (ভারতকে) জানিয়েছি এবং এ বিষয়ে নোট ভারবাল পাঠিয়েছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।
ওই দিনই শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠি ভারত পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তিনি বলেন, "(হাসিনাকে) প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কিত একটি কূটনৈতিক পত্র আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আমরা হাতে পেয়েছি। তবে এ মুহূর্তে এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।"