প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
দরগা-মাজারে হামলা ও ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে সারাদেশে ৪০টি মাজার এবং ৪৪টি দরগায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৫টি ঘটনায় মামলা করে মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকী ২৯টি ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দপ্তরের বরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানান, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) হামলার বিষয়ে পুলিশের রিপোর্টে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার মাজার-দরগায় যে কোনো আক্রমণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ধারণ করে। মামলাগুলো কঠোরভাবে তদন্ত করে হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগা) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। কোনো ব্যক্তির অভিযোগ পেলে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বিবাদমান পক্ষের সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীল কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তথ্য মতে, গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশে ৪০টি মাজারে এবং ৪৪টি দরগায় হামলার রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় মাজার ও ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত।
হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ১৭টি হামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০ ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারটি হামলা হয়েছে।
সবকটি হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অন্তর্ভুক্ত। এসব ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা ও জিডি করেছে।
এসব ঘটনায় ফৌজদারি মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় ইতিমধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।