রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধে জটিলতা কাটবে দ্রুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২২ পিএম

রবিবার প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা দ্রুত সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জি খোজিন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার রবিবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের জানান, অতীতের মতোই রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ঋণ পরিশোধের জটিলতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রাশিয়া নিয়মিত যোগাযোগ করছে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ভাবনা শুরু হয়েছিল ১৯৬১ সালে। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দিকে এগোতে শুরু করে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে পাবনার ঈশ্বরদীতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা।
২০১৭ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের চুল্লি ও পানি শীতলকারী ডোমের কনক্রিট ঢালাই কাজ উদ্বোধন করা হয়।
২০১৬ সালে রাশিয়ার ঋণের আওতায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়।
প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের বিলম্বের কারণে এটি শেষ হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়া এই প্রকল্পে ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে। এটি চালু হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।