নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয় : ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে তার সমালোচনা হয়। তিনি বলেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন সময়ে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৪-এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করা যায়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, এখনো একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করা যায়নি। যারা রাজনীতি করেন, তারা বদলানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হয় না।
গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে অবশেষে বিজয় অর্জন করা হয়েছে। সেই বিজয়ের মধ্য দিয়ে সামনের দিনগুলোতে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার আশা প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়, যেখানে তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবে। তারা ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার এবং ন্যায়বিচারের সমাজ চায়।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। বিগত ১৫ বছর নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হওয়া জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। দ্রুত নির্বাচন না হলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং জনগণের চাহিদা পূরণ হয় না।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা জানিয়ে ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। একটি নির্বাচন হওয়া দরকার, যা গণতান্ত্রিক পথে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সবগুলো সংস্কার শেষ করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা আসছে। তাহলে কি ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করতে হবে? যতদিন সংস্কার না হয়, ততদিন জনগণ অপেক্ষা করবে?
তিনি বলেন, আমলাতন্ত্রে দলীয়করণ করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। তিনি আশা করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে এবং দেশের সংকট থেকে মুক্তি দেবে।
শহীদ আসাদকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিহাস থেকে আসাদকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, খায়রুল কবির খোকন।