বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩০০ গোপন লকারের সন্ধান পেয়েছে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৪ এএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামে তিন শতাধিক লকারের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব লকারে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে আদালতের অনুমতি নিয়ে লকারগুলো খুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে লকার খোলার অনুমোদন পাওয়া গেছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খুলে অনুসন্ধান চালানো হবে।
আদালতের অনুমতি ও দুদকের পদক্ষেপ
দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার নামে থাকা লকার খোলার অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত বিষয়টি পর্যালোচনা করে অনুমতি দিয়েছেন।
এদিকে, দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন সাবেক ডেপুটি গভর্নরের নাম উঠে আসছিল। এরই মধ্যে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর গোপন লকার থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তের এক পর্যায়ে দুদকের নজরে আসে আরও তিন শতাধিক লকার, যার মালিকদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচিত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এসব লকারের সঙ্গে রিজার্ভ চুরি ও অন্যান্য অর্থ কেলেঙ্কারির সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে লকারগুলোর ইনভেন্টরি ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ অনুমতি দেন।
দুদকের অনুমোদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে লকার খুলে অনুসন্ধান চালানো হতে পারে। অনুসন্ধানের পর এসব লকার থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে দুদক।