রমজান আসতেই নিত্যপণ্যের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ঝড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাস আসন্ন, আর এর আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ঝড়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচাবাজারের বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে জনপ্রিয় বেগুন, শসা ও লেবুর দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। তবে এখনো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের বাজার।
সবজির বাজারে আগুন
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের কেজি ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকায় পৌঁছেছে। লেবুর দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে—আগে যেখানে ২০ টাকায় চারটি লেবু পাওয়া যেত, এখন একেকটি লেবুর দামই ২০ টাকা। শসার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। তবে ফুলকপি, গাজর, টমেটো ও শিমের মতো শীতকালীন সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, যা ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তেলের সংকট, চালের বাজারে স্থবিরতা
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ভোক্তাদের এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরতে হচ্ছে, আবার পাওয়া গেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। কিছু দোকানে শর্ত দেওয়া হচ্ছে—আটা, ময়দা বা পোলাওয়ের চাল না কিনলে সয়াবিন তেল দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম এখনো আগের মতোই রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানি হলেও যৌক্তিক দামে ভালো মানের চাল পাওয়া যায়নি, তাই বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
মাংস ও মাছের বাজারেও চড়া দাম
মাংসের দামও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির কেজি ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০-২১০ টাকায়, আর সোনালি মুরগি ২৮০-৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরু ও খাসির মাংসের দামেও লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কিছুটা বেশি। খাসির মাংসের কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১,২০০ টাকায় পৌঁছেছে। ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,০৫০-১,১০০ টাকায়।
মাছের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। চাষের চিংড়ি, কই, শিং, তেলাপিয়া, রুই ও পাঙাশের কেজি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নদীর মাছের দাম বেড়েছে আরও বেশি। মাঝারি আকারের আইড় ও বোয়ালের কেজির দাম ২,০০০ টাকারও বেশি।
রমজান মাসের আগে এমন মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের কষ্ট বাড়াচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, সরবরাহ ও আমদানিজনিত জটিলতার কারণেই দাম বাড়ছে।