Logo
Logo
×

জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা উচিত: সিইসি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা উচিত: সিইসি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, এনআইডি ইসির হাতে না থাকলে কমিশনের কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, "সরকার এনআইডি সেবা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছে, তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের প্রতিনিধি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং আমাদের মতামত জানিয়ে এসেছে। আশা করি, সরকার আলোচনা না করে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। লিখিতভাবে আমাদের মতামত জানানো হবে।"

তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে, সামনে জাতীয় নির্বাচনও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে হয় না। এনআইডি কার্যক্রম ইসিতে থাকা উচিত।"

আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর ইসি সচিবালয় আইনটি বাতিলের দাবি জানায় এবং তা বাতিল করা হয়।

কিন্তু এনআইডি সেবা সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে একটি স্বতন্ত্র কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করতে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৩ মার্চ ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ পর্যালোচনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে না রেখে স্বতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করাই যথাযথ হবে।

তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং মৌখিকভাবে সিইসিকে তাদের মতামত জানিয়েছেন। কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে না থাকলে ভোটার নিবন্ধনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে নাকি স্বতন্ত্র কমিশন গঠিত হবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন