
ছবি: সংগৃহীত
ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে ভ্যালেনটাইনস ডে উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ভ্যালেনটাইনস ডে করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদন্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবার অপরাধে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ভ্যালেনটাইনস ডে সার্বজনীন হয়ে ওঠে আরও পরে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে।
বাংলাদেশেও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। ঋতুরাজ বসন্তের দ্বিতীয় দিনে ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও হয় প্রকাশে পবিত্র। ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ।
ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক যুগলদের মনের এই উচ্ছ্বাসকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতেই ফ্যাশন ব্রান্ড বিশ্বরঙ আয়োজন করেছে ”ভালোবাসি, ভালোবাসি” শীর্ষক এক প্রতিযোগীতার। যেখানে প্রেমিক যুগলরা তাদের ছবি পাঠিয়ে জিতে নিবে আকর্ষনীয় সব পুরস্কার। ছবি পাঠানোর ঠিকানা : [email protected] এবং যে কোন তথ্য জানতে কল করুন ০১৮২০-০৫৮৫৬১, ০১৭৩০-০৬৮০২৪ এই নাম্বারে।
শুধুতরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষই ভালোবাসার এই দিনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ।
ভালোবাসা দিবস শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই। চলবে উপহার দেয়া-নেয়া। দিবস ভিত্তিক সব আয়োজনে ”বিশ্বরঙ” বরাবরই অগ্রপথিক, সেই ধারাবাহিকতায় ”বিশ্বরঙ” এর এবারের ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে লাল, কমলা, সাদার মিশেলে প্রকৃতি আর ভালোবাসার বিভিন্ন সিম্বলই রয়েছে পোশাক অলংকরনের মূল উপাদান। শীতের শেষবেলায় পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ও খাদি কাপড়। ”বিশ্বরঙ” এর শাড়ী, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবী, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে প্রকৃতির ফুল, পাতা, গাছ সহ প্রকৃতিরই বিভিন্ন অনুষঙ্গ। পাশাপাশি ভালোবাসার বিভিন্ন সিম্বলিক উপাদান এসেছে ডিজাইনের অনুসঙ্গ হিসাবে। কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, এ্যাপলিক, কাটওর্য়াক, স্ক্রিন প্রিন্ট ইত্যাদি।
সুদীর্ঘ ৩০ বছরে সারা দেশব্যাপী ”বিশ্বরঙ” এর শোরুমে সুপ্রিয় শুভানুধ্যায়ীদের আগ্রহী পদচারনায় মুখরিত হয়েছে কৃতজ্ঞচিত্তে বারংবার। শোরুমে গিয়ে কেনাকাটার সুযোগের পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসেই শোরুমের সকল সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারবে অনলাইনে www.bishworang.com.bd ওয়েবসাইটে, ফেইজবুক পেইজ BISHWORANG অথবা ০১৮১৯২৫৭৭৬৮, ০১৭৩০০৬৮০৩৬ নম্বরে ফোন করেও কেনাকাটা করতে পারবেন।