ইতিহাস গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২০১৭ সালের ফাইনালে ২০৬ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। জবাবে ঢাকা ক্যাপিটালস সেই রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এছাড়া, ২০১৯ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৯৯ রান করে ১৭ রানে জয় লাভ করেছিল। এবার বরিশালকে জিততে হলে ইতিহাস সৃষ্টি করতে হতো। শেষমেশ তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বরিশাল টানা দু'বার বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম কিংস। জবাবে, ফরচুন বরিশাল ৩ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত শুরু করেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তামিম।
এরপর চিটাগাং দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে। মালান ২ বলে ১ ও হৃদয় ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন।
তবে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামলান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দলীয় ১৩০ রানে ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গে রান তুলতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দলীয় ১৭২ রানে শরীফুল দুটি উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগাংকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। মায়ার্স ২৮ বলে ৪৬ ও মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ৭ রানে আউট হন।
শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ক্যামিওতে বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম ওপেনিং জুটিতে ১২ দশমিক ৪ ওভারে ১২১ রান তোলে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে ৬৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তানি ওপেনার খাজা নাফি। তার ব্যাট থেকে ৭ চার ও ৩ ছক্কা আসে।
দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন ইমন ও ক্লার্ক। ব্যাটিংয়ের একপর্যায়ে পায়ে আঘাত পেয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করেন ক্লার্ক। ইনিংসের শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরের বলেই লম্বা শট খেলতে গিয়ে আউট হন শামীম হোসেন।
সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম দুইশ স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ রানের আক্ষেপ থেকে যায়। ৪৯ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন ইমন।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট নেন এবাদত ও মোহাম্মদ আলী।