ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় আরো ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরো ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৬ হাজার। গাজায় ইসরায়েলের এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো ৮১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
সোমবার (২৭ মে) রাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা নিরলস ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরো জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৮১ হাজার ২৬ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে সাতটি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। এতে ৩৩ জন নিহত এবং আরো ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধ্বংস হয়ে গেছে।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।