Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ভারতের লক্ষ্ণৌ শহরে ঘুমন্ত মা ও ৪ বোনকে হত্যা করলো যুবক

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম

ভারতের লক্ষ্ণৌ শহরে ঘুমন্ত মা ও ৪ বোনকে হত্যা করলো যুবক

ছবি : সংগৃহীত

ভারতে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক যুবক তার মা ও চার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ শহরের নাকা এলাকার একটি হোটেলে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সী আরশাদ আগ্রার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মানসিক চাপ এবং পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ঘটনা পুরো শহরের মানুষকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্ণৌয়ের নাকা এলাকার হোটেল শরনজিতে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের একটি কামরায় আরশাদ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। রাতের অন্ধকারে সবাই যখন ঘুমাচ্ছিল তখন তিনি এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটান।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় নিহতরা হলেন, আরশাদের মা আসমা এবং তার চার বোন আলিয়া (৯), আলশিয়া (১৯), আকসা (১৬) এবং রহমিন (১৮)।

লক্ষ্ণৌ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) রাভিনা ত্যাগী বলেছেন, অভিযুক্ত আরশাদ নিজের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যা করেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় পুলিশ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখে তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, আরশাদ আগ্রার এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা ও সম্পর্কের টানাপোড়েন দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। আরশাদ সম্প্রতি চাকরির জন্য লক্ষ্ণৌ এসেছিলেন এবং তার পরিবারও এখানে এসেছিল।

তবে পারিবারিক বিরোধ ও মানসিক অশান্তি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, আরশাদ এই নির্মম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ডিসিপি ত্যাগী বলেন, এই হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরশাদ জানিয়েছেন যে, তার মধ্যে পারিবারিক চাপ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, তিনি অন্য কোনো পথ খুঁজে পাননি। তবে আমরা বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে তদন্ত করছি।

ঘটনাস্থল থেকে কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের আশঙ্কা এগুলো সম্ভবত হত্যার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আলামত সংগ্রহ করছেন এবং হত্যাকাণ্ডের সময়কাল ও ঘটনাস্থলে আরশাদের গতিবিধি পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা যাচাই করার জন্য তাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে, নিহতদের পরিবার ও পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটির কারণ আরো স্পষ্ট করার চেষ্টা চলছে।

ডিসিপি ত্যাগী বলেন, আমরা পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি এবং তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে এই ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এবং হোটেলের কর্মচারীরা হতবাক হয়ে পড়েন। হোটেলের ম্যানেজার বলেন, ‘আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি যে, এমন কিছু ঘটতে পারে। পরিবারটিকে বেশ শান্ত মনে হচ্ছিল, কিন্তু রাতে কী হলো আমরা জানি না।’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন