বাংলাদেশে ইউএসএইডের সব প্রকল্প ও কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তাদের সহযোগিতা কার্যক্রম স্থগিত করেছে। মার্কিন সরকার এই সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ইউএসএইডের অধিগ্রহণ ও সহায়তা তত্ত্বাবধায়ক চুক্তি কর্মকর্তা ব্রায়ান অ্যারন এক চিঠিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ তথ্য জানান।
বাস্তবায়নকারী একাধিক সংস্থার সাথে কথা বলে এর সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে। তবে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বাস্তবায়নকারী দেশীয় সংস্থাগুলো জানিয়েছে, আগামী তিন মাস কোনও মার্কিন সহায়তা পাওয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। দেশটির ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করার পরই এই সহযোগিতা স্থগিতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। যেসব সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
ইউএসএইডের চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউএসএইড, বাংলাদেশ বাস্তবায়নকারী সব অংশীদারদের চুক্তি, কার্য আদেশ, অনুদান, সমবায় চুক্তি বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা স্মারকের অধীনে সম্পাদিত যেকোনও কাজ অবিলম্বে বন্ধ বা স্থগিত করার নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়া বরাদ্দ থেকে ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লিখিত কোনও নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত সব কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে দ্রুত একটি গাইডলাইন পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউএসএইড কর্মসূচি এশিয়ার বৃহত্তম, যা গণতন্ত্র ও শাসন, মৌলিক শিক্ষা, পরিবেশগত কার্যক্রম এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএসএইড বাংলাদেশে বড় ধরনের মানবিক সহায়তা প্রদান করে। তবে এই আদেশের প্রভাব জরুরি খাদ্য সহায়তার ওপর পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।