মেক্সিকো-কানাডা-চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর চড়া শুল্কারোপ করে একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমেরিকাকে সুরক্ষায় এই শুল্কারোপ অপরিহার্য ছিল।’ তিনি আরও জানান, অবৈধ ফেনটানিল উৎপাদন ও রফতানি বন্ধে মেক্সিকো, কানাডা ও চীনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন কমানোর জন্য মেক্সিকো ও কানাডাকে আরও জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তবে এই শুল্কারোপ ট্রাম্পের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, পেট্রোল, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য পণ্য কম দামে পাওয়ার বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে, যা ট্রাম্পের জনপ্রিয়তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নতুন এক অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দিলেন ট্রাম্প। তার ঘোষিত আদেশ অনুযায়ী, চীন থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ এবং মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যদি মেক্সিকো ও কানাডা পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে শুল্ক আরও বাড়ানো হবে। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আজ ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে আমাদের একত্রিত করার বদলে বিচ্ছিন্ন করে দিল হোয়াইট হাউস।’ ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, তার দেশও অ্যালকোহল ও ফলসহ মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর মোট এক লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার শুল্কারোপ হবে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া সেইনবামও একই ধরনের পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে চীন এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।